Sunday, May 19, 2024
বিনোদন প্লাস স্পেশাললাইম-Light

শোনো একটি মুজিবরের থেকে…

“আমার শক্তি হলো আমার দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা।

আমার সবচেয়ে বড় দুর্বলতাও এটাই, যে ওদের আমি মাত্রাতিরিক্ত ভালোবাসি”– শেখ মুজিবুর রহমান।

মুম্বইতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে শ্যাম বেনেগলের মুখোমুখি হয়েছিলাম। একটি সর্বভারতীয় হিন্দি টিভি চ্যানেলে ওঁর ছবির রেট্রো দেখানো হবে, তাই নিয়েই সাংবাদিক সম্মেলন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাংবাদিকরা এসেছেন। তাঁদের মধ্যে একেবারে নতুনরা ছাড়া সকলেই বিষয়টা নিয়ে প্রবল রোমাঞ্চিত। সেই রোমাঞ্চের রেশ সাংবাদিক সম্মেলনেও প্রতিভাত হলো শ্যামের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর পর্বে। সাংবাদিক সম্মেলন শেষে আমরা জনা দশ/বারো অতি উৎসাহী ঘিরে ধরলাম তাঁকে। শ্যাম বেনেগলকে হাতের কাছে পেয়ে আরও কিছু বাড়তি প্রশ্ন না করলে চলে ?

আমাদের নানা প্রশ্নের জবাবে যেটা উঠে এলো, সেটা চমকপ্রদ। সেই সময় ভারতের সংবিধান নিয়ে কাজ করছেন তিনি। দ্বর্থহীন ভাষায় বললেন, “এই সংবিধান তৈরির কাজটা কত কঠিন হয়েছে সেই সময়, সেটা এর গভীরে প্রবেশ করার পর বুঝতে পারছি। এই বিশাল দেশ। এত ভাষা, ধর্ম, সংস্কৃতি ও সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করে এই দেশে। প্রত্যেকের কথা ভেবে, তাদের শুভাশুভের কথা মাথায় রেখে এই সংবিধান তৈরি–কী বিরাট এক চ্যালেঞ্জ ! আমি কুর্নিশ জানাই ওই মানুষগুলোকে। বাইরে থেকে সমালোচনা করা সহজ। কাজটা করে ওঠা কঠিন।” দেশ ও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার আবেগে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল তাঁর অভিব্যক্তি। শ্যামের তৈরি তথ্যচিত্রগুলির কথা মনে আসছিল এই প্রসঙ্গে। গবেষণা থেকে তার পরিবেশন ভঙ্গি, শ্যাম নিজের তুলনাহীনতার স্বাক্ষর রেখেছেন বারবার। দু’দুবার জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন।

এহেন একজন স্রষ্টা বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানকে নিয়ে তথ্যচিত্র বানাচ্ছেন, এর থেকে ভালো খবর আর কী হতে পারে ? ‘মুজিব : দ্য মেকিং অফ আ নেশন’ (বাংলায় ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার) তাই শুরু থেকেই সর্বভারতীয় স্তরে এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে। প্রসঙ্গত, ভারত-বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই বায়োপিক নির্মাণ প্রসঙ্গে গৌতম ঘোষ বা কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম ওঠার পরেও শেষ পর্যন্ত কেন শ্যাম বেনেগলের কথা ভাবা হয়, সেটার জন্য রকেট সায়েন্স পড়ার দরকার পড়ে না। ওঁরা দুজনেই স্ব স্ব ক্ষেত্রে গুণী ও প্রতিষ্ঠিত। গৌতমের তো তথ্যচিত্র নির্মাণের যথেষ্ট অভিজ্ঞতাও রয়েছে। তা সত্ত্বেও শ্যাম বেনেগলের সঙ্গে এই প্রেক্ষিতে আর কারও নাম এক ব্র্যাকেটে আসে না।

বাংলাদেশের তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, একটি বাছাই কমিটি বিভিন্ন জনের পরামর্শ নিয়ে পরিচালক হিসেবে বেনেগালের নাম চূড়ান্ত করেছে। মজা হলো, এই বাছাই কমিটিই প্রাথমিকভাবে গৌতম ঘোষ ও কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম বিবেচনা করেছিল। পরে সেটা বদলায় সংগত কারণেই। বাংলাদেশ ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন ও ন্যাশনাল ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন অফ ইন্ডিয়ার যৌথ উদ্যোগ তৈরি এই তথ্যচিত্র। জানা গেছে, পরিচালক নির্মাণ খরচের যে হিসাব দেবেন, তার ৮০ শতাংশ বাংলাদেশ সরকার বহন করবে।

বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ভারতের আত্মিক সম্পর্ক–এইসব নিয়ে দুই বাংলার মানুষের আবেগ এক চিরন্তন প্রক্রিয়া। সীমান্তরেখার এপারের বাঙালি সেদিন মনেপ্রাণে মুক্তিকামী বাংলাদেশের পাশে ছিল। অন্যদিকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সক্রিয় সমর্থন ছাড়া মুজিবের স্বাধীন দেশের স্বপ্ন পূরণ অসম্ভব ছিল। সেদিক থেকে এই তথ্যচিত্র যেমন এক সময়ের প্রতিবিম্ব, তেমনই পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছেও সমান গুরুত্বপূর্ণ। আবার যখন এ তথ্যচিত্র শ্যাম বেনেগলের হাতে প্রস্তুত হয়, তখন এটি সর্বভারতীয় গুরুত্ব পেয়ে যায়।

শোনা যাচ্ছে, ‘মুজিব : দ্য মেকিং অফ আ নেশন’ নির্মাণে শ্যামের পরিশ্রমলব্ধ গবেষণা এই ছবির ক্যানভাসকে এক বিশাল মাত্রা দিতে চলেছে। বরাবরই নিজের কাজে অত্যন্ত মননশীল এই প্রবীণ পরিচালক। এক্ষেত্রেও এতটুকু ত্রুটি রাখছেন না নিজের কাজে। পড়াশোনা, গবেষণা, বিশ্লেষণ, তথ্য সংগ্রহ–ইতিহাসকে অবিকৃত রেখে এক জটিল রাজনৈতিক প্রেক্ষিত ও কালচক্রকে ধরার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন তিনি বোঝাই যায়। একটি শ্রদ্ধেয় নাম, এক স্পর্শকাতর বিষয়–তাকে ঘিরে স্তরে স্তরে কত না বলা কথা, কত গোপন আলাপন, কত লোভ ও ষড়যন্ত্রের নাটক, সেসব কতটুকু দর্শক দরবারে আনবেন আর আনবেন না, সেও তো এক বড় বিবেচনার বিষয় ! শ্যামের মতো পরিণতমনস্ক মানুষ ছাড়া এটা স্থির করবেন কে ?!

এক সাক্ষাৎকারে শ্যাম বলেছেন, “মুজিবের জীবনের পর্দায় পুনর্গঠন এক কঠিন কাজ। আমাকে যে জিনিসটা ওঁর সম্পর্কে সবচেয়ে স্পর্শ করেছে, সেটা মুজিবুর রহমানের অন্তরের ভাবাবেগের সুরটা। ওঁর সেই অসাধারণ কথা–”আমার শক্তি হলো আমার দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা। আমার সবচেয়ে বড় দুর্বলতাও এটাই, যে ওদের আমি মাত্রাতিরিক্ত ভালোবাসি।” মুজিবের এই মানবিক আবেগ ও গুণাবলীর দিকটা নিয়েই নিজের অনুসন্ধানের কাজটা শুরু করেন শ্যাম। আজ যা শুধু মানুষের দরবারে পৌঁছনোর অপেক্ষায়।

এই অভিজ্ঞ পরিচালক এও লক্ষ্য করেন, মুজিব অত্যন্ত পরিবারমুখী একজন মানুষ ছিলেন। তাঁর রাজনৈতিক চেতনার সঙ্গে জড়িয়ে ছিল পারিবারিক মূল্যবোধ। সেই আঙ্গিকেই ছবিটিকে বিন্যস্ত করা হয়েছে বলে জানান শ্যাম। এ ছবির কাহিনি আমরা শুনবো মুজিবের স্ত্রীর গ্রন্থনার মধ্য দিয়ে। মুজিবের সবচেয়ে কাছের মানুষ এই নারী। মুজিবকে খুব ভালো বুঝতেন তিনি। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, উনি ওই পরিবারেই বেড়ে ওঠেন ও পরে তাঁদের বিয়ে হয়। মুজিবের পারিবারিক, সামাজিক বৃত্তের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তরণের অনির্বচনীয়তা বর্ণিত হবে তাঁর জীবনসঙ্গিনীর মুখে–নিঃসন্দেহে এ এক অপূর্ব অবলোকন পরিচালক শ্যাম বেনেগলের।

এই তথ্যচিত্রের অন্যতম প্রধান গুরুত্বপূর্ণ খবরটি এবার বলবো। মুজিবুর রহমানের ভূমিকাভিনেতা খুঁজে বের করাটা শ্যামের পক্ষে ছিল আর এক বৃহৎ চ্যালেঞ্জ। তবে, সেই চ্যালেঞ্জ ভালোই উৎরেছেন তিনি। বাংলাদেশের প্রখ্যাত সিনেমা ও টিভি ব্যক্তিত্ব আরিফিন শুভ অভিনয় করেছেন মুজিবের ভূমিকায়। এই প্রসঙ্গে, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শ্যাম জানান, “আরিফিন যথেষ্ট প্রতিষ্ঠিত হওয়া সত্ত্বেও রীতিমতো অডিশন দিয়েছেন মুজিবের চরিত্রে অভিনয় করবেন বলে। আরিফিন আমায় জানিয়েছেন, এটাই ওঁর স্বপ্ন ও সাধনা, মুজিবের চরিত্রে অভিনয় করা। ওঁর স্পিরিটটাই আরিফিন সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে আমায়।” বাংলাদেশের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ও আরও অজস্র পুরস্কার বিজেতা আরিফিন শুভ এই ভূমিকায় কতটা সম্ভ্রম আদায় করে নেন, সেটা দেখার অপেক্ষায় দুই বাংলার মানুষ। অন্যান্য চরিত্রে আছেন নুসরত ইমরোজ তৃষা (মুজিবের স্ত্রী), ফজলুর রহমান বাবু, চঞ্চল চৌধুরী, নুসরাত ফারিয়া ও রিয়াজ। সিনেমাটোগ্রাফি আকাশদীপ পান্ডে। মিউজিক শান্তনু মৈত্র। ‘মুজিব : দ্য মেকিং অফ আ নেশন’-এর চিত্রনাট্য লিখেছেন অতুল তিওয়ারি ও শামা জাইদি।

এই ছবিতে শেখ মুজিবুর রহমানের বহু আলোচিত ও উদ্দীপক, জাতির প্রতি তীব্র আবেগে নিবেদিত বেশ কয়েকটি ভাষণ স্থান পাবে শোনা গিয়েছে। সেই ভাষণের সাক্ষী তৎকালীন কলকাতা শহরও। কলকাতাবাসীরও হৃদয় আলোড়িত হয়েছিল সেদিন। পাঠক স্মরণ করুন সেই গান, যা ধ্বনিত হয়েছিল এপার বাংলারও প্রতি কোনে–শোনো একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ মুজিবরের কণ্ঠস্বরের ধ্বনি-প্রতিধ্বনি…! প্রসঙ্গত, অবিভক্ত ভারত–দেশভাগের শর্তে স্বাধীনতাপ্রাপ্তি–পূর্ব পাকিস্তানের জন্ম ও শেষে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশ গঠন। এই ঐতিহাসিক জয়যাত্রা, বাংলাভাষাকে কেন্দ্র করে একটি দেশের জন্ম–বিষয়টাকে মাথায় রেখেই এই ছবিকে বাংলাভাষায় নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন শ্যাম। তাঁর কথায়, “তৎকালীন (পশ্চিম) পাকিস্তান সরকারের জোর করে উর্দুভাষা চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদেই মুজিবের নেতৃত্বে স্বাধীনতা আন্দোলনের শুরু। এ ছবি হিন্দি বা ইংরেজি ভাষায় হলে মুজিবের অন্তরের ভাবাবেগের প্রকৃত সুরটি হারিয়ে যেত।”

ভাষার সঙ্গে আঞ্চলিক সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রাখার লড়াইও ছিল মুজিবের আন্দোলনের একটি দিক। তিনি একটি জাতির আপন সত্ত্বার সামগ্রিক দিকটাকেই রক্ষা করতে চেয়েছিলেন। নিঃসন্দেহে ছবি তৈরির মাধ্যম হিসেবে বাংলা ভাষা ছিল শ্যামের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ ! এ দেশের সংস্কৃতি, আচার-বিচার-আবেগ–বোঝাটাও সহজ ছিল না শ্যামের পক্ষে। এ ব্যাপারে তিনি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তাঁর রিসার্চ টিমকে। বলেছেন, “আমার সৌভাগ্য, অসাধারণ একটি সাপোর্ট সিস্টেম পেয়েছি আমি। লেখক, গবেষক, অনুবাদকের এই টিম প্রতি মুহূর্তে আমার কাজটাকে সহজ করে দিয়েছে। এছাড়া আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও বেশ কয়েকবার দেখা করি। ওঁর সাহচর্যে, ওঁর দেওয়া তথ্যের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে আরও ভালো করে জানা ও বোঝার চেষ্টা করি। আমি কৃতজ্ঞ। শেখ হাসিনাও বহু অজানা তথ্য দিয়ে আমার কাজে সাহায্য করেছেন।”

আন্দোলনের নেতা থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও পরে প্রধানমন্ত্রী হন মুজিব। দেশ গঠনের মুহূর্তে ভারত সরকারের সার্বিক সহযোগিতার কথা ভোলেননি তিনি। ভোলেননি এপার বাংলার জনগন তথা ভারতবাসীর পরম আন্তরিক ও নৈতিক সমর্থনের কথা। ভারতের সঙ্গে বরাবর সুসম্পর্ক বজায় রাখেন তিনি। এইসবও তথ্যচিত্রে স্থান পেয়েছে বলে জানা গেছে। সবশেষে সেই ভয়ঙ্কর কালো দিন। মাত্র ৫৫ বছর বয়সে নিজের বাড়িতে পরিবারের সকল সদস্যসহ ঘাতকের হাতে প্রাণ যায় শেখ মুজিবর রহমানের। দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান দুই কন্যা। যাঁদের একজন বাংলাদেশের আজকের মুখ্যমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তথ্যচিত্রে এই মর্মন্তুদ বিষয়টি যেমন আসবে, তেমন মুজিবের শাসনকালে স্বজনপোষণকে ঘিরে কিছু বিতর্ক দানা বাঁধে, সেসবও উঠে আসবে। শ্যাম অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে জানিয়েছেন, একজন অবিসংবাদিত জননেতা, তাঁর সময় ও সময়ের প্রেক্ষিতে উঠে আসা ভালোমন্দ সব ঘটনাই গুরুত্ব পেয়েছে এই তথ্যচিত্রে। কোথাও কিছু লুকোনোর নেই। সত্যকে তুলে ধরে মানুষটির কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করার চেষ্টা করেছেন তিনি। সম্মান প্রদর্শন করেছেন জাতির প্রতি মুজিবের আন্তরিক ভাবাবেগকে। ‘মুজিব : দ্য মেকিং অফ আ নেশন’-এর অন্তরকথা এটাই।

আপাতত অপেক্ষা–দুই বাংলার মানুষ তথা তামাম সিনেমাপ্রেমীর। ২০১০-এ শ্যাম বেনেগল পরিচালিত শেষ ছবি ছিল ‘ওয়েলডান আব্বা’। সে ছবি যথেষ্ট প্রশংসিত হলেও তারপর আর কোনও ছবি করেননি তিনি। তাঁর ছবির ভক্তরা অপেক্ষা করেছেন একটা পুরো যুগ। লম্বা এক সময়। কাহিনিচিত্র না হোক, শ্যামের ছবি বলে কথা ! তায় শেখ মুজিবর রহমানের জীবননির্ভর তথ্যচিত্র। সকলেই চাইছেন দ্রুত আলোর মুখ দেখুক এই ছবি। পোস্টার মুক্তির লগ্নেই ধরা পড়েছে মানুষের আবেগ। এবার ছবি মুক্তির পালা। দেখা যাক, কতটা সাড়া পায় ‘মুজিব : দ্য মেকিং অফ আ নেশন’। স্রষ্টার আবেগের সুরে দর্শকের সুর মিললে, এ ছবির নির্মাণ সার্থক হবে।