Sunday, May 19, 2024
কৃষ্টি-Culture

‘আমার কুটির’ মাতলো চিরন্তনী উমাদের আনন্দ নিবেদনে

তাঁরা উত্তরবঙ্গের শিল্প ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের অতি চেনা নাম। নানান কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকেন বছরভর। অনলাইন ও অফলাইন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। অতিমারীর প্রকোপে যখন সকলেই দিশাহারা, মঞ্চের অনুষ্ঠানগুলি সম্পূর্ণ বন্ধ, সেই সময়ই উত্তরবঙ্গের অধিবাসী বাংলার প্রখ্যাত বাচিকশিল্পী মীনাক্ষী ঘোষ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আয়োজন করেন শারোদোৎসব উপলক্ষে এক বিশেষ আড্ডার আসর। মীনাক্ষীর সঞ্চালনায় মর্ত্যের থুড়ি বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের উমারা সেই অনুষ্ঠানকে দারুণ বর্ণময় করে তুলেছিলেন।

রোগ-শোক পার হয়ে জনজীবন একদিন স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। মঞ্চ অনুষ্ঠানও হতে শুরু করে আগের মতোই। উমারাও ব্যস্ত হয়ে পড়েন নিজ নিজ ক্ষেত্রে। যদিও সেই এক শরতে তাঁদের মধ্যে মীনাক্ষীর সৌজন্যে যে বন্ধন রচিত হয়, তা অটুটই থেকে যায়। সাংস্কৃতিক কাজকর্মে যোগাযোগ ছাড়াও নিজেদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ‘চিরন্তনী উমা’-র মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন তাঁরা একে অপরের সঙ্গে। সম্প্রতি সেই গ্রুপেরই সদস্যদের উদ্যোগে এক মিলন সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়েছিল শিলিগুড়ির অতি চেনা সাংস্কৃতিক চর্চাকেন্দ্র ‘আমার কুটির’-এ। বড়ই নান্দনিক ও শৈল্পিক সৌন্দর্যে মন্ডিত ‘আমার কুটির’-এর অভ্যন্তর। সেখানে নাচ, গান, কবিতা, আলাপনে মেতে ওঠেন চিরন্তনী উমারা। ছিলেন মীনাক্ষী ঘোষ, অতসী রায়, জয়তী ভট্টাচার্য, স্বাগতা পাল, চন্দ্রাশ্রী মিত্র, জুঁই ভট্টাচার্য, ডালিয়া রায়চৌধুরী, অজন্তা সিনহা এবং জুঁইয়ের পুত্র জিষ্ণু। নিজেদের বয়স ও তথাকথিত সামাজিক পরিচয়ের আবরণ খুলে ফেলে নির্মল আনন্দে মেতে ওঠেন উমারা। অনুষ্ঠান শেষে যেন সেই আনন্দেরই আবেশ মেখে নেই জৈষ্ঠ্যের আকাশ। ঝড়ের মাতন আর আকাশের ধারাপাত প্রাণে নিয়ে ঘরে ফেরেন উমারা। আমার কুটিরের আশপাশ তখন নিশীথরাতের বৃষ্টিধারায় মুখরিত।