Sunday, May 19, 2024
কৃষ্টি-Culture

শিলিগুড়ি ‘উত্তরাপন‘ আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনী

শিলিগুড়ির চন্ডাল বুকস-এ গত ৪ঠা নভেম্বর সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করেছিল শিলিগুড়ির ‘উত্তরাপন‘। সহযোগিতায় ছিল কলকাতার সুকথা ও আনন্দধ্বনি, দুই বাংলার সাংস্কৃতিক সংগঠন বিশ্বভরা প্রাণ ও শিলিগুড়ির লস্ট ইনসাইড। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির পদ অলংকৃত করেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট বাচিকশিল্পী ও সাংস্কৃতিক সংগঠক জাহান বশীর, কলকাতার খ্যাতনামা বাচিকশিল্পী মধুছন্দা তরফদার, রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী ও সাংবাদিক অজন্তা সিনহা, জনপ্রিয় বাচিকশিল্পী ও সঙ্গীতশিল্পী বিধুরা ধর ও কলকাতার খ্যাতনামা বাচিকশিল্পী ও সংগঠক স্মৃতিময় ঘোষ।

কথায়-গানে-কবিতা ও শ্রুতিনাটকে জমে উঠেছিল এই মনোজ্ঞ সন্ধ্যা। অনুষ্ঠানের শুরুতেই অতিথিদের সন্মাননা জ্ঞাপনের পর উত্তরাপনের শিল্পীরা পরিবেশন করেন সমবেত উদ্বোধনী সঙ্গীত। উত্তরাপনের শিল্পীদের দ্বারা পরিবেশিত হয় কবিতা ও গান। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা ‘দুই পাখী’-র নাট্যরূপ পরিবেশন করেন রীতা চক্রবর্তী, মনোজিত বারিক ও নবনীতা ব্যানার্জি। নাট্যরূপ মিথিলা মুখার্জি। বনানী মুখোপাধ্যায়ের লেখা দুটি শ্রুতিনাটক পরিবেশন করেন বনশ্রী পোদ্দার, মনোজিত বারিক, সোমা দে ও কাবেরী পাল। ‘সুকথা’ পরিবেশিত সবকটি শ্রুতিনাটকের পরিচালনায় ছিলেন স্মৃতিময় ঘোষ।

কলকাতা থেকে আগত ‘আনন্দ ধ্বনি’-র শিল্পীরা গানে গানে মাতিয়ে দিয়েছিলেন দর্শকদের। সঙ্গীতশিল্পী অজন্তা সিনহার গান প্রেক্ষাগৃহের পরিবেশকে একটি অন্যমাত্রা দেয়। এছাড়াও উপভোগ্য ছিল বিধুরা ধরের সঙ্গীত পরিবেশন। মনে রাখা আবৃত্তি পরিবেশনে ছিলেন জাহান বশীর ও মধুছন্দা তরফদার। বেশ ভালো ছিল উত্তরাপনের সদস্য তপন ভট্টাচার্যের কবিতাভিনয়, দেবযানী সেনগুপ্তের রবি-কবিতা এবং সাধন দত্ত ও পার্থ সরকারের সঙ্গীত পরিবেশন।

ছিল নন্দিনী সরকারের স্বরচিত একক শ্রুতিনাটক, উপভোগ্য পরিবেশন। সবশেষে শিলিগুড়ির ‘লস্ট ইনসাইড’-এর পরিবেশন। গানে গানে পুরো প্রেক্ষাগৃহের দর্শককে মাতিয়ে তোলেন তাঁরা। বিজয়া সম্মেলন যথার্থই এক প্রাণবন্ত রূপ নেয়, যা এই আয়োজনের উপলক্ষ ছিল। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশিষ্ট সঞ্চালক ও বাচিকশিল্পী দেবাশিস ভট্টাচার্য। দেবাশিস উত্তরবঙ্গের একজন বিশিষ্ট বাচিকশিল্পী, সঞ্চালক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক। তাঁর আবেগপূর্ণ সঞ্চালনা এদিনের অনুষ্ঠানকে যথাযথ মাত্রায় এগিয়ে নিয়ে যায়, মুগ্ধ করে দর্শকদের।