Saturday, May 18, 2024
ওয়েব-Wave

এক রাজনৈতিক নাটকের জ্বলন্ত ছবি

মুম্বইয়ের বিশেষ এক রাজনৈতিক দলের একজন বিখ্যাত নেতাকে গুপ্তহত্যার চেষ্টা ও নেতার মৃত্যু! এই ঘটনার পরই এলোমেলো হয়ে যায় অনেকগুলি জীবন ! শহরে আগুন জ্বলে, প্রবল ঝড় ওঠে ! শান্ত দীঘিতে ঢিল পড়লে যা হয়, আশপাশের সবার জীবনেই ঢেউ ওঠে। সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকের জীবনের ওপরেই প্রবল প্রভাব পড়ে, প্রত্যেকেই ক্ষতবিক্ষত হয়। ওয়েব সিরিজ ‘সিটি অফ ড্রিমস‘ শুরুর সূত্র এমনই এক ঘটনা। মূলত গাইকোয়ার পরিবারের অন্দরে ঘনিয়ে ওঠা ক্ষমতার লড়াই, যেখান থেকে ভয়ানক অশান্তি ও হত্যার ছক। 

মৃত নেতার জায়গা কে নেবে, তাকে কেন্দ্র করে অশান্তি লাগামছাড়া হয়ে ওঠে। নেতার ছেলে মনে করে, অধিকার তারই। উল্টোদিকে মেয়ের ভাবনা, মেয়ে বলেই কী এই সাম্রাজ্য থেকে বঞ্চিত হবে সে? অতএব সে ষড়যন্ত্রের জাল বিছায়। সেই জালের শিকার যে তার নিজেরই ভাই, একথা ভুলে যেতে দেরি হয় না তার। নৈতিক-অনৈতিকতার দ্বন্দ্ব তীব্র হয়। কোথাও বোধহয় সেই দ্বন্দ্বও আর থাকে না। জয় হয় পেশীশক্তির। রাজনৈতিক দলকে পারিবারিক সম্পত্তিতে পরিণত করার প্রক্রিয়া দেখতে অভ্যস্ত ভারতবাসী। এই সিরিজ তারই প্রতিচ্ছবি ! তাই দর্শক সহজেই এর প্রতি পর্বে সৃষ্ট টেনশনের সঙ্গী হয়ে যান। 

বলিউডের অফবিট পরিচালক নাগেশ কুকুনূর পরিচালিত ‘সিটি অফ ড্রিমস‘ হটস্টার স্পেশালে স্ট্রিমিং শুরু হয় ২০১৯-এ। কাহিনি লিখেছেন নাগেশ ও তার লেখক টিমের রোহিত বানাওয়ালিকর। শোনা যায়, নাগেশ ও রোহিতের পরিকল্পনা ছিল, এই কাহিনি নিয়ে ওঁরা সিনেমা বানাবেন। পরে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের রমরমা দেখে ওঁরা অনুভব করেন এমন একটি রিয়ালিস্টিক কাহিনি ওয়েব মাধ্যমেই বেশি উপযোগী হবে। শেষে সিনেমা তৈরির মত বদলে নাগেশ-রোহিত ওয়েব সিরিজ তৈরি করেন। ২০১৯-এর মে মাসে স্ট্রিমিং হয় প্রথম সিজন। দ্বিতীয় সিজন দেখানো শুরু হয় ২০২১-এর ৩১শে জুলাই। ২০২৩-এর ২৬শে মে শুরু হয়েছে সিজন ৩। তিনটি সিজনে মোট ২৯টি পর্ব দেখানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, ‘সিটি অফ ড্রিমস‘-এর দুরন্ত ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর ও টাইটেল ট্র্যাকটি তৈরি করেছেন তাপস রেলিয়া।

অসাধারণ এক অভিনেতা টিম জড়ো করেছেন নাগেশ এই সিরিজে–অতুল কুলকার্নি, প্রিয়া বাপাত, সচিন পিলগাঁওকর, ইজাজ খান, সিদ্ধার্থ চন্দেকর প্রমুখ। আর এক্ষেত্রে প্রথম নামটা অবশ্যই অতুল কুলকার্নি। ভারতীয় সিনেমা, থিয়েটার ও অধুনা ওয়েব দুনিয়ার অপরিহার্য এক অভিনেতা অতুল আপনার পুরো মনোযোগ টেনে নেবেন, গ্যারান্টি। তারই সঙ্গে পাল্লা দেন প্রিয়া বাপাত। তাঁর ব্যক্তিত্বপূর্ণ অভিনয় চোখ টেনে নেয় সহজেই। এছাড়াও রিয়ালিস্টিক অভিনয়ে মুগ্ধ করেন শিশির শর্মা, সচিন পিলগাঁওকর, আদিনাথ কোঠারে, সিদ্ধার্থ, ইজাজ, সুশান্ত সিং, সন্দীপ কুলকার্নি, দিব্যা শেঠ, বিভাবরী দেশপান্ডে প্রমুখ।