Sunday, May 19, 2024
টেলি-Talk

যে মায়ের রক্ষাকবচ মৃত্যুর পরও ঘিরে থাকে সন্তানকে

গল্প যায় গল্প আসে। অন্দরের পর্দায় বুঁদ হয়ে থাকেন দর্শক। ধারাবাহিক নির্মাতারা দর্শকমনের চাহিদা বুঝে নতুন নতুন গল্পের বীজ বপন করেন। মেগার দুনিয়ায় এ এক চলমান প্রক্রিয়া। কখনও নতুন ধারার কাহিনি, কখনও পুরোনো বোতলে নতুন মদ পরিবেশন ! সে হোক, অভিজ্ঞ লেখকদের কলমে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে সবটাই। জি বাংলার নতুন ধারাবাহিক ‘আলোর কোলে‘ পর্দায় এভাবেই নিয়ে এসেছে চিরন্তন মা ও সন্তানের কাহিনি। মা, যে কিনা সব অবস্থাতেই তাঁর সন্তানকে বাইরের জগতের যাবতীয় প্রতিকূলতা থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করেন। এই কাহিনিতে অবশ্য এহেন চেনা ছকের মধ্যেও বেশ বড়সড় একটা ব্যতিক্রম আছে। 

এ কাহিনি তরুণী পুপুলের। চারপাশের জটিল আবর্ত, নানা বিপদের আশঙ্কার মাঝে মৃত মায়ের অভাব প্রতি পদক্ষেপে অনুভব করে পুপুল। যদিও, পুপুলের মা আলো রক্ষক হিসেবে আছে তার সঙ্গে, এমনকী মৃত্যুর পরেও। কথিত আছে, মা-ই পারে এমনটা, জাগতিক অনুপস্থিতিকে নস্যাৎ করে, সন্তানের পাশে থাকতে। প্রশ্ন হলো, পুপুলের মৃত মায়ের এই অন্তহীন চেষ্টা, অতিপ্রাকৃত এই সংযোগ কী তাকে রক্ষা করতে পারে? ধারাবাহিকের পর্বগুলি জুড়ে রয়েছে এই প্রশ্ন ও তার উত্তর। যেখানে আমরা দেখি, চলে যাওয়া মায়ের জন্য এক সন্তানের আবেগ আর সেই মৃত মায়ের মেয়েকে আগলে রাখার ঐকান্তিক চেষ্টা।

কলকাতায়, ধারাবাহিকের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন পর্বে সাংবাদিক সম্মেলনে জি এন্টারটেনমেন্ট এন্টারপ্রাইজেস লিমিটেডের চিফ ক্লাস্টার অফিসার (ইস্ট) সম্রাট ঘোষ জানিয়েছেন, ‘আলোর কোলে‘ হলো এমনই এক কাহিনি, যেখানে সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসা সময়, এমনকী জীবন-মৃত্যুর স্বাভাবিক সীমারেখার উর্ধ্বে। “হৃদয়স্পর্শী এই গল্প সব বয়সী সর্বস্তরের দর্শকের চোখে অর্থবহ মনে হবে। তাঁরা সহজেই এতে সম্পৃক্ত হতে পারবেন। পারিবারিক বন্ধনের পাশাপাশি সন্তানের প্রতি মায়ের অদম্য ভালোবাসার ছবি ফুটে উঠবে”–যোগ করেন তিনি। 

একই সুরে জি বাংলার বিজনেস হেড নবনীতা চক্রবর্তী বলেছেন, “এই ধারাবাহিকের কাহিনি একেবারে নতুন ভাবনার এক আমেজ নিয়ে আসবে দর্শক দরবারে। আমার বিশ্বাস, বাংলার ঘরে ঘরে এই কাহিনির আবেদন পৌঁছে যাবে খুব তাড়াতাড়ি।” ‘আলোর কোলে’ প্রযোজনা করেছে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের 

এনআইডিয়াস ক্রিয়েশনস এন্ড প্রোডাকসন্স।  সাংবাদিক সম্মেলনে প্রসেনজিৎ জানান, “এই কাহিনি একজন মা, একজন স্ত্রী ও একজন গৃহিণীর কথা বলবে। কাহিনির পরতে পরতে রয়েছে স্নেহ, মমতা, ভালোবাসা ও দায়িত্বের অতুলনীয় কথা। আমাদের পরিবার টিকে থাকে এই অনুভূতিগুলির ওপরেই। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, দর্শকের আবেগের সবকটি তার ছুঁতে পারবে ‘আলোর কোলে’।” 

এই বিশ্বাস আমরাও রাখি। কারণ, ‘আলোর কোলে’র ক্রিয়েটিভ হেড ও শো রানার ইন্ডাস্ট্রির অভিজ্ঞ ও প্রখ্যাত ক্রিয়েটর যুবরাজ ভট্টাচার্য। অভিনয়ে আছেন কৌশিক রায়, স্বীকৃতি মজুমদার, সোমু সরকার ও অনন্যা দাশ প্রমুখ। প্রত্যেকেই অভিজ্ঞ। পুপুলের চরিত্রে অভিনয় করছেন ঋষিতা নন্দী। বাংলা টেলিভিশনে ঋষিতা অতি চেনা মুখ। সাম্প্রতিক ‘গৌরী এলো‘ ধারাবাহিকে তাঁর সাবলীল অভিনয় সকলেই বেশ পছন্দ করেছেন। এখানেও ঋষিতার অভিনয়ে পর্দায় জীবন্ত হয়ে উঠবে পুপুল, এমনটাই প্রত্যাশিত। আলোর চরিত্রে স্বীকৃতি মজুমদার। বাংলা টেলিভিশনে ইতিমধ্যেই নানা ধরনের চরিত্রে নিজেকে অপরিহার্য করে তুলেছেন তিনি। স্বীকৃতি ও ঋষিতার পর্দার রসায়ন নিঃসন্দেহে মেগার ইউএসপি হতে চলেছে। জি বাংলায় ‘আলোর কোলে’ দেখানো হচ্ছে সোম থেকে শনি রাত ৯টায়।