Sunday, May 5, 2024
Cine-সংবাদ

নয়া জমানার ‘এক রুকা হুয়া ফয়সলা’

১৯৮৬ -তে মুক্তি পেয়েছিল পরিচালক বাসু চ্যাটার্জির ছবি ‘এক রুকা হুয়া ফয়সলা’! মুম্বইয়ের এই বাঙালি চিত্র পরিচালক মূলত অর্থবহ মিষ্টি প্রেমের সামাজিক ছবি বানানোর ক্ষেত্রেই খ্যাত। সেইদিক থেকে ‘এক রুকা হুয়া ফয়সলা’ ছিল একশো ভাগ সমান্তরাল ভাবনার ছবি। আর তাঁর ঘরানার পক্ষে তো যথেষ্টই ব্যতিক্রমী। ছবিতে অভিনয় করেছিলেন পঙ্কজ কাপুর, দীপক কাজির, অমিতাভ শ্রীবাস্তব, এস এম জহীর, সুভাষ উদ্গাতা, হেমন্ত মিশ্র, এম কে রায়না, কে কে রায়না, অন্নু কাপুর, সুব্বিরাজ প্রমুখ। এঁরা এক একজন দিকপাল অভিনেতা। এঁদেরই অবদানে বাসু চ্যাটার্জির ‘এক রুকা হুয়া ফয়সলা’ এক ক্লাসিক ছবিতে পরিণত হয়।

ফলে, পরিচালক ডঃ দর্শন অশ্বিন ত্রিবেদী যখন ‘এক রুকা হুয়া ফয়সলা’র রিমেকের ঘোষণা করেন, লোকজন নড়েচড়ে বসে। সেই কাল্ট কোর্টরুম/লিগ্যাল ড্রামার রিমেক নিঃসন্দেহে এক বিরাট চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখছে ইন্ডাস্ট্রি। রিমেকে যাঁরা অভিনয় করছেন, তাঁরাও অবশ্য এই সময়ের প্রেক্ষিতে এক একজন চূড়ান্ত দক্ষ অভিনেতা। ‘এক রুকা হুয়া ফয়সলা’র রিমেকে অভিনয় করছেন অতুল কুলকার্নি, সুভিন্দর ভিকি, দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য, নীরজ কবি, দিব্যা দত্ত, বিনীত কুমার, তন্নিষ্ঠা চ্যাটার্জি, কানি কুশ্রুতি, হেমন্ত খের, সম্বেদনা সুয়ালকার, লিউক কেনি ও মনু ঋষি চাড্ডা।

প্রসঙ্গত, পরিচালক জানিয়েছেন “এটা ঠিক, সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল, একটি ক্লাসিক ছবির এক নতুন প্রেক্ষিত তৈরি করা। আজকের সময়ের পটভূমিতে তৈরি হবে ‘এক রুকা হুয়া ফয়সলা’। কাহিনি নির্মাণে আমরা আইন বিষয়ে গবেষণারত মানুষজনের পরামর্শ নিয়েছি, যাতে বিষয়টি যথাযথ মাত্রায় দর্শকের সামনে আনা যায়!” ওঁর কথায়, “বাসু চ্যাটার্জির ছবিটি ছিল ১৯৫৭-র আমেরিকান ছবি ‘টুয়েলভ অ্যাংরি ম্যান’-এর রিমেক। বলা বাহুল্য, বাসু চ্যাটার্জি তার সুন্দর ভারতীয়-করণ হাজির করেন আমাদের সামনে।” প্রেক্ষিত বদলে দর্শন কীভাবে তাকে অর্থবহ করে তোলেন, সেটা দেখার অপেক্ষায় সকলেই। একটি পরিবর্তন ইতিমধ্যেই সাধিত, ১২জন জুরির টিমে এবার একজন মহিলাও থাকছেন।

কিষান মীনার একমাত্র উত্তরাধিকারী অর্জুন অভিযোগের কাঠগড়ায়। আরুশি ব্রার নামে এক তরুণীকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ অর্জুনের বিরুদ্ধে। আরুশি খ্যাতনামা ব্যবসায়ী মন সিং ব্রারের মেয়ে। বিষয়টি একাধিক আর্থ-সামাজিক ও রীতি-সংস্কৃতির জটিলতায় আচ্ছন্ন। ফলে, এলাহাবাদ কোর্ট বিচারের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে অক্ষম হয়। এরপরই হাইকোর্ট এই কেসের সমাধানে কমিশন বসাবার সিদ্ধান্ত নেয়। এই কমিশনে থাকবেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ১২জন বিশেষজ্ঞ। এঁদেরই সিদ্ধান্ত অনুসারে হাইকোর্ট তাদের শেষ রায় জানাবে। যতক্ষণ পর্যন্ত না এই ১২জন মানুষ একমত হবেন, ততক্ষণ এই রায়দান স্থগিত থাকবে! মূল এই কাহিনির নতুন রূপায়ন ঘটিয়েছেন বর্ণালী রায় শুক্লা। প্রযোজনা ধরণীধর প্রোডাকশন, অনিল মেওয়াদা, শেফ প্রণব যোশী। সঙ্গে আছে টোয়েন্টি ওয়ান স্টুডিওজ এবং সূর্যবীর সিং ভুল্লার ও ডঃ দর্শন অশ্বিন ত্রিবেদী।