Saturday, May 18, 2024
চিল-Out

পু আর গীত–তাঁর মধ্যে দুজনেই বিরাজমান

কতটা ফিটনেস ফ্রিকি আমাদের পু থুড়ি করিনা কাপুর খান, তাঁর ভক্তকুলের সকলেই জানেন। পু না গীত ? ওঁর কথায়, আমি কিছুটা পু, কিছুটা গীত ! পু না গীত–কোনটা তাঁর পছন্দের চরিত্র এই প্রশ্নের জবাবেই এক অনলাইন আড্ডায় এমনটা জানিয়েছেন করিনা। ফিরে আসি বেগম খানের ফিটনেস আলোচনায়। দুই সন্তানের এই জননী রীতিমতো আকর্ষনীয় ও আবেদনময়ী আজও।

কী সেই ম্যাজিক, সেই প্রসঙ্গে করিনা বলেছেন, “সকালে বাড়িতে সবার আগে ঘুম থেকে উঠি আমি। সময়টা ৭.৩০ আর উঠেই চা পান, যা তিনি একেবারে নিজের মনপসন্দ নিয়মে বানিয়ে নেন। তারপরই রুটিন ওয়ার্কআউট। সপ্তাহের বাকি দিনগুলো ফিটনেসের কঠোর কঠিন নিয়ম মেনে চললেও করিনার সানডে ব্রাঞ্চ কিন্তু পুরো নিয়মভাঙার খেলা মেনে চলে। “কী খাই ? পিৎজা, পাস্তা, বার্গার, ফ্রাই ইত্যাদি। অর্থাৎ সবই ইটালিয়ান কুইজিন !”–শো হোস্টকে জানান বেবো। আর সানডে ব্রাঞ্চ-এ তাঁর সঙ্গে দিদি করিশমা, পরিবার বা তুতো ভাইবোনকেই চান টেবিলে।

এমনিতে হাসিখুশি কাপুর খানদানের এই আহ্লাদী কন্যেটি বেশ বিরক্ত হন, লোকজন সময়ের দাম না দিলে। পরিবার বা চেনা-পরিচিত মহলে এই ব্যাপারে যথেষ্ট মুখর করিনা। তবে, শুটিং স্পটে সহ অভিনেতাদের তো আর কিছু বলা যায় না ! সেখানে বাস্তব কারণেই মানিয়ে চলতে হয়–প্রাঞ্জল তিনি। কারও ওপর খুব রেগে গেলে, বেবো কী অপ্রীতিকর শব্দ বলেন তাঁকে ? শো হোস্টের এই প্রশ্নের জবাবে করিনা হাসতে হাসতে জানান, “তেমন কিছু নয়। বড়জোর ‘মূর্খ‘ বিশেষনটা প্রয়োগ করি !”

পরিস্থিতি যেমনই হোক, সুখে দুঃখে করিনার সবচেয়ে বড় আশ্রয় দিদি করিশমা কাপুর। সব কথা তাঁর সঙ্গেই শেয়ার করেন বেবো। আদতে এ বিষয়ে একে অপরের পরিপূরক তাঁরা। খুব ছোটবেলায় বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পর এই বন্ড সঙ্গে নিয়েই বেড়ে উঠেছেন দুই বোন। তারকাদের ক্ষেত্রে যেমন হয়, নিজের নামে ভুল বা মিথ্যে রটনা শুনলে, কী করেন তিনি ? “সে তো রোজই কিছু না কিছু শুনছি ! ওসব নিয়ে ভাবি না। রটনাকে গুরুত্ব দিলে আমাদের পেশায় শান্তিতে থাকা মুশকিল। অতএব গুরুত্ব না দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ”–হাসিমুখে জানান সইফ ঘরণী।

সংসারে খুব বেশি মন দেওয়ার কারণে আজকাল বেছে বেছে কাজ করেন করিনা। তারপরও নিয়মিত জনপ্রিয় এক রেডিও চ্যানেলের পডকাস্ট শো হোস্ট করতে দেখা যায় তাঁকে, যে শোয়ের শিরোনামও করিনার নিজেরই নামে। একজন সফল এন্টারপ্রেনিওর রূপে নিজস্ব পোশাক ও প্রসাধনীর কালেকশন ফ্যাশন বাজারে এনেছেন করিনা। ২০১৪ সাল থেকে ইউনিসেফ-এর সঙ্গে কাজ করছেন তিনি, নারীশিক্ষা ও ভারতে সামগ্রিকভাবে শিক্ষার মানকে উন্নত করার লক্ষ্যে। কর্মজীবন থেকে অবকাশ–সবক্ষেত্রেই নিজের যাপনকে শুধু রঙিন নয়, অর্থবহ করে তুলেছেন পতৌদির এই রূপসী ও গ্ল্যামারাস বেগম !!